
স্বাগতম আমাদের তথ্য ও প্রযুক্তি ব্লগে! আজ আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ খবর নিয়ে আলোচনা করব যা অনেক ইমেইল ব্যবহারকারীর জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে। যদি আপনি Yahoo Mail-এর পুরনো ব্যবহারকারী হন, তাহলে নিশ্চয়ই মনে আছে যে একসময় এই প্ল্যাটফর্মটি ফ্রি ব্যবহারকারীদের জন্য ১ টেরাবাইট (TB) স্টোরেজ অফার করত। এটি ছিল একটি বিশাল সুবিধা – ছবি, ফাইল, ইমেইল সবকিছু সংরক্ষণ করার জন্য যথেষ্ট জায়গা! কিন্তু ২০২৫ সালের জুলাই মাসে Yahoo এই সুবিধাটি কমিয়ে ২০ গিগাবাইট (GB)-এ নামিয়ে এনেছে। এই পরিবর্তনটি অনেকের কাছে অপ্রত্যাশিত এবং হতাশাজনক মনে হচ্ছে, কারণ এটি ৯৮% কম স্টোরেজ!
কী ঘটেছে ঠিক?
Yahoo Mail-এর অফিসিয়াল আপডেট অনুসারে, ২৯ জুলাই ২০২৫ থেকে ফ্রি অ্যাকাউন্টগুলোর স্টোরেজ লিমিট ১ TB থেকে কমিয়ে ২০ GB করা হয়েছে। এর ফলে, যদি আপনার অ্যাকাউন্টে ২০ GB-এর বেশি ডেটা থাকে, তাহলে আপনি নতুন ইমেইল পাঠাতে বা গ্রহণ করতে পারবেন না। Yahoo বলছে এটি একটি “উন্নয়ন” বা “বেনিফিট” হিসেবে, কিন্তু অনেক ব্যবহারকারী এতে অসন্তুষ্ট। রেডিটের মতো প্ল্যাটফর্মে লোকেরা বলছেন যে এটি স্বচ্ছতার অভাব এবং মিডিয়া কভারেজ ছাড়াই করা হয়েছে। আমরা যখন এই খবর শুনলাম, তখন মনে হলো – এত বড় একটা চেঞ্জ, কিন্তু কেন? সম্ভবত খরচ কমানোর জন্য বা প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশনকে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে। প্রিমিয়াম ব্যবহারকারীদের জন্য স্টোরেজ এখনও বেশি, কিন্তু ফ্রি ইউজারদের জন্য এটি একটা বড় ধাক্কা।
ব্যবহারকারীদের উপর প্রভাব কী?
যদি আপনি বছরের পর বছর ধরে Yahoo Mail ব্যবহার করে আসছেন, তাহলে আপনার অ্যাকাউন্টে হয়তো হাজার হাজার ইমেইল, অ্যাটাচমেন্ট এবং ফটো জমা হয়েছে। এখন ২০ GB-এর লিমিট মানে অনেককে পুরনো ফাইল ডিলিট করতে হবে বা প্রিমিয়ামে আপগ্রেড করতে হবে। নাইজেরিয়ান মিডিয়া রিপোর্ট করেছে যে এর ফলে অনেক ব্যবহারকারীকে মাসিক ফি দিতে হবে। আমাদের মতে, এটি বিশেষ করে ছোট ব্যবসা বা ব্যক্তিগত ব্যবহারকারীদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যারা ফ্রি সার্ভিসের উপর নির্ভর করে। কল্পনা করুন, আপনার গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টগুলো হঠাৎ করে অ্যাক্সেসযোগ্য না হয়ে যায় – এটি সত্যিই হতাশাজনক!

যাইহোক, Yahoo বলছে যে এই পরিবর্তন ২৭ আগস্ট ২০২৫-এর মধ্যে সব অ্যাকাউন্টে প্রয়োগ হবে। তাই, যদি আপনার স্টোরেজ ২০ GB-এর কাছাকাছি হয়, তাহলে এখনই চেক করুন। Yahoo Mail-এ লগইন করে স্টোরেজ চেক করার অপশন আছে – সেটা ব্যবহার করুন।
কী করবেন এখন? কিছু টিপস
এই পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নেওয়ার জন্য কয়েকটা সহজ উপায় আছে:
- পুরনো ইমেইল ডিলিট করুন: বড় অ্যাটাচমেন্টগুলো খুঁজে বের করুন এবং অপ্রয়োজনীয়গুলো মুছে ফেলুন। Yahoo-এর সার্চ ফিচার ব্যবহার করে সহজেই করা যায়।
- অল্টারনেটিভ ইমেইল সার্ভিস চেষ্টা করুন: আপনার যদি ফ্রিতে আরও বেশি স্টোরেজ প্রয়োজন হয়, সে ক্ষেত্রে আপনি যেসব ই-মেইল প্রোভাইডাররা বিনামূল্যে ২০ জিবির চেয়েও বেশি স্টোরেজ অফার করছে, সেসব ই-মেইল সার্ভিস গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
- প্রিমিয়ামে আপগ্রেড করুন: যদি আপনার প্রয়োজন বেশি স্টোরেজ, তাহলে Yahoo-এর পেইড প্ল্যান চেক করুন। এতে অ্যাড-ফ্রি এক্সপেরিয়েন্সও পাবেন।
- ব্যাকআপ নিন: ইমেইলগুলো ডাউনলোড করে TeraBox, Google Drive বা অন্য ক্লাউডে সেভ করুন, যাতে কোনো সমস্যা না হয়। আপনি চাইলে টেরা বক্স (TeraBox) ব্যবহার করতে পারেন। টেরাবক্সে ১ টেরাবাইট (TB) পর্যন্ত ফাইল ব্যাকআপ রাখা যায়।
আমরা মনে করি, প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় ব্যবহারকারীদের মতামত নেওয়া উচিত। এটি শুধু একটা স্টোরেজ চেঞ্জ নয়, বরং আমাদের ডিজিটাল জীবনের একটা অংশকে প্রভাবিত করছে।
আপনার কী মত? Yahoo-এর এই পরিবর্তন নিয়ে কমেন্টে জানান। যদি এই পোস্টটি সহায়ক মনে হয়, তাহলে শেয়ার করুন এবং আমাদের ব্লগ সাবস্ক্রাইব করুন যাতে আরও প্রযুক্তি নিউজ পান। ধন্যবাদ!

এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার মতামত অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। এছাড়াও তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করতে অথবা আপনার সমস্যার কথা জানাতে Ask করুণ টিপি সমাধান -এ। আপনার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্নের উত্তর ও সমস্যার সমাধান দিতে টিপি সমাধান আছে আপনার পাশে।
বিঃদ্রঃ টেক প্রহরে প্রকাশিক সকল কনটেন্ট (যেমনঃ লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও, কোড, ফাইল ইত্যাদি) এবং যাবতীয় কার্যকলাপের সম্পূর্ণ দায়ভার শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট প্রকাশকারীর। আপনার যদি টেক প্রহরে প্রকাশিক কোনো কনটেন্ট এর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে, তাহলে কনটেন্ট রিপোর্ট অথবা অপসারণের অনুরোধ করতে পারেন, আমরা আপনার অভিযোগটি খতিয়ে দেখবো এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিবো।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.